পরিসংখ্যানগত ফারাক বেশি না হলেও কয়েকটি আলোচিত অপরাধের কারণে ২০১১ সালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চলেছে বিস্তর শোরগোল। এমনকি রাজনৈতিক আন্দোলন ও ইস্যু তৈরির ক্ষেত্র হয়েছিল নানা ধরনের অঘটন। বড় ধরনের সহিংসতা না থাকলেও এ বছর বিচ্ছিন্ন অনেক ঘটনাতেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। অপরাধমূলক ঘটনার সুবাদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিব্রত হয়েছে সরকার।
চলতি বছরের শেষার্ধে গুপ্তহত্যা বিতর্ক প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। বিভিন্ন স্থান থেকে সাদা পোশাকধারীদের হাতে আটক প্রায় ১০০ জনের খোঁজ মেলেনি বলে পরিবারগুলো থেকে অভিযোগ ওঠে। রাজধানী ঢাকাতেই চলতি বছর নিখোঁজ হয়েছেন ৩০ জন। এ পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ নদী ও জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৭৮ জন। হত্যার পাশাপাশি পুলিশের কর্মকাণ্ডও অনেক আলোচনার জন্ম দেয়। হরতাল চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশের নির্মম নির্যাতন ও মতিঝিলে জামায়াতের এক কর্মীকে পদপিষ্ট করার ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদেরকে খিলগাঁও থানায় নির্যাতন, র্যাবের গুলিতে ঝালকাঠিতে লিমনের পঙ্গুত্ব আলোচনার জন্ম দেয়। শবেবরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারে পুলিশের মদদে ছয় ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনাও দীর্ঘদিন আলোচনায় ছিল।
সব ছাপিয়ে নরসিংদীর নির্বাচিত জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর ১১ মাসে খুনসহ ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মাদক কেনাবেচাসহ এক লাখ ৩৭ হাজার অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছর ২৫৮ জন খুনের ঘটনার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষার্থী, শিশু ও নারী রয়েছে। ডাকাতির ঘটনা ৪০টি, দস্যুতা ২৩২টি, ১৮৯১টি চুরি, অপহরণের শিকার ১০৯ জন, নারী-শিশু নির্যাতন ১৪১১ জন, ধর্ষণের শিকার ২০৫ জন, এসিডে আক্রান্ত ছয়জন। এ ছাড়া গত বছর ৯টি বড় ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় ১৩০ পুলিশ আক্রান্ত হন। সব মিলে গত বছরে রাজধানীর বিভিন্ন থানাতেই ২১ হাজার ৩৬০টি মামলা হয়েছে।
চলতি বছর রাজধানীর আলোচিত হত্যা ঘটনার মধ্যে ছিল যশোরের বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলামকে অপহরণের পর হত্যা, মিরপুরে অন্ধ কল্যাণ সংস্থার মহাসচিব খলিলুর রহমান, ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে মা ভার্জিনিয়া রোজারিও ও ছেলে ভ্যালেন্টাইন রোজারিওকে হত্যা, পুরান ঢাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী আবুল কালাম, মতিঝিলে যুবদল নেতা শহীদ মোল্লাকে, শ্যামপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ ও তাঁর গাড়ি চালক হারুনুর রশিদ, শাহবাগে গৃহবধূ কামরুন্নাহার সাদিয়া, পল্লবীতে স্কুলছাত্র শাওন হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা।
অপরাধমূলক ঘটনার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে বেশ কিছু সহিংসতা উত্তাপ ছড়িয়েছে সারা দেশে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ডাকা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে রাজধানীতে চলতি মাসেই ঘটেছে সহিংসতা ও তাণ্ডব। গোয়েন্দাদের পূর্ব আভাস সত্ত্বেও এ সংঘর্ষ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড রুখতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এর আগে শিবিরের কর্মীরা একবার আকস্মিক হামলায় নাস্তানাবুদ করেছে পুলিশকে। সে সময়ও যানবাহন ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ ও বোমাবাজির ঘটনা সাধারণ মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। নিষিদ্ধ-ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন হিযবুত তাহরীরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েক দফা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে এ সংগঠনের শো-ডাউন মোকাবিলা করতে গিয়ে লাঠিপেটা ও টিয়ার শেল ব্যবহার করতে হয়েছে পুলিশকে। বছরের শুরুতে বিমানবন্দর নির্মাণের জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের প্রতিবাদে ৩১ জানুয়ারি ঢাকার নবাবগঞ্জ, দোহার, মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঢাকা- মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশ হত্যা, অগি্নসংযোগসহ নানা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরে সরকার সহিংসতা সামাল দিতে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, সংঘর্ষসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনাকে ছাপিয়ে চলতি বছর আকস্মিক আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় 'গুপ্তহত্যা'। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ও আতঙ্ককে বাড়িয়ে দেয় রাজনৈতিক প্রলেপ। প্রতিটি নিখোঁজ ঘটনাকেই গুপ্তহত্যার সন্দেহের মোড়কে জড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন মহল থেকে দায়ী করা হতে থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। পুলিশ ও র্যাবকে ইঙ্গিত করে রাজনৈতিক মহল থেকে বলা হতে থাকে ক্রসফায়ারের অপবাদ না নিতে বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে গুপ্তহত্যার পদ্ধতি। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব গুপ্তহত্যায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতা ও দায় এড়িয়ে বক্তব্য দিলেও বিতর্ক এখনো অব্যাহত।
চলতি বছরে সারা দেশে শতাধিক নিখোঁজ ঘটনার কিনারা করতে না পেরে পুলিশ ও র্যাব এ বিতর্ক থেকে নিজেদের বের করে আনতে পারছে না। একই সঙ্গে গুপ্তহত্যার ঘটনাগুলোতে জড়িতদের শনাক্ত করতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। নিখোঁজ পরিবারগুলোর অধিকাংশেরই অভিযোগ, কোথাও কেউ অপহৃত হলে বা কারো খোঁজ পাওয়া না গেলে তারা পুলিশ বা র্যাবের কাছে গিয়ে কোনো সহযোগিতা পায় না। তাতেই সন্দেহ বেড়ে যায়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কিছু ঘটে থাকতে পারে। ঢালাওভাবে অভিযোগ আনা ঠিক নয়।
র্যাবের গোয়েন্দা উইংসের প্রধান জিয়াউল আহসান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই একটি মহল এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। চলতি বছর দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ৯৬৪টি। নিখোঁজ হয়েছে ১০৪ জন। ফলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৬৮-তে। এর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৪৩২ জন। সর্বশেষ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্তই অপহরণ আর নিখোঁজের সংখ্যা ৭৩ জন। উদ্ধার হয়েছে ১৮ জন। গুপ্তহত্যার রহস্য উদঘাটনে র্যাব কাজ করছে। তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা পেলে তারাও কোনোভাবে ছাড় পাবে না।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি আগারগাঁও বিএনপি বস্তির নুর মোহাম্মদসহ তাঁর এক আত্মীয়ও নিখোঁজ হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তাঁরা উদ্ধার হননি। চলতি মাসে শুধু মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী ও আশপাশ এলাকা থেকে আটটি লাশ উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে ছয়জনের কোনো পরিচয় মেলেনি। পরিচয় পাওয়া দুজন হচ্ছেন ঢাকার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল নেতা ইসমাইল এবং শরীয়তপুরের মঞ্জুর মুন্সী। গত ১৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে জামাল নামে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জামালের পরিবারের পক্ষ থেকে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এরপর ১৮ জুলাই জামালের লাশ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে, যারা সবাই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ স্বীকার করে।
গত ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে অপহৃত হন রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর। গতকাল পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি। ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর দুদিনে মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ এবং নোয়াখালীতে তিন ব্যক্তি গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ মিলেছে। এর আগে ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর পাশে ধামরাই-কালিয়াকৈর সড়কের কালভার্টের নিচ থেকে মো. লিপন (৪০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১২ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়। এদিন রাজধানীর শেরে বাংলানগর জাহানারা গার্ডেনের ১৩১ নম্বর বাড়ি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার হয়। ১৪ ডিসেম্বর খুলনার খানজাহান এলাকা থেকে উদ্ধার হয় চরমপন্থী নেতা নিয়ামুলের লাশ। ১৫ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়ার জায়গীরপাড়া বিল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক পুরুষ ও মহিলার লাশ, কোম্পানীগঞ্জের বিএনপি নেতা আবদুল ওহাবের (৭০) লাশ, ভাঙ্গায় মানু ফকিরের লাশ এবং আশুলিয়ায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো এক যুবকের লাশ। গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ও সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম হাসান ওরফে সোহেল, ঢাকা মহানগর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেনকে হাতিরপুল এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ করা হয়। পরে ৮ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে ভেসে ওঠা দুটি লাশের মধ্যে একটি ইসমাইল হোসেনের বলে শনাক্ত করেছেু তাঁর স্বজনরা। সোহেল ও মাসুম এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ৭ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার বাসিন্দা ইউনুস মুন্সী, তাঁর ভাই মঞ্জু মুন্সী, তাঁদের মামাতো ভাই শেখেন মাতবর ও তাঁদের এক ব্যবসায়িক পার্টনার কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর শেরে বাংলানগর থানার পশ্চিম আগারগাঁও শাপলা হাউজিং এলাকা থেকে নিখোঁজ হাজি নূর মোহাম্মদের মেয়েজামাই আবদুল মান্নান ও তাঁর বন্ধু ইকবাল হোসেন অপহৃত হন। ১ ডিসেম্বর রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল হক খান অপহৃত হন। পরের দিন ২ ডিসেম্বর সকালে ধামরাইয়ের বাথুলিতে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ৬ ডিসেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের মালিগ্রামের কাইয়ুমসহ পাঁচজন অপহৃত হয়েছেন। ২ নভেম্বর রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হন রিয়াজুল ইসলাম (৩০)। ২৬ নভেম্বর মৌলভীবাজার পূর্ব সুলতানপুর (কাজীরগাঁও) থেকে নিখোঁজ হন ১৫ বছরের কিশোর বেলাল আহমেদ রোমান। ২৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার চুনাগুড়া গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন লাইনের বাসার নিচ থেকে অপহৃত হন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি কে এম শামীম আকতার। ৩১ জুলাই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রধারীরা রাজধানীর দয়াগঞ্জ বাজার মোড় থেকে ধরে নিয়ে যায় জুয়েল সরদার, তাঁর চাচাতো ভাই রাজীব সরদার ও মিজানুর রহমান নামে ওয়ার্কশপকর্মীকে। ৫ আগস্ট জুয়েল ও মিজানের লাশ পাওয়া যায় গাজীপুরের পুবাইল এলাকার ঢাকা বাইপাস সড়কের নাগদা সেতুর ঢালে। একই দিন রাজীব সরদারের লাশ মেলে ঢাকা-মাওয়া সড়কের পাশ থেকে। ২ অক্টোবর মিরপুর থেকে নিখোঁজ হন আওয়ামী লীগ নেতা ও ঝুট ব্যবসায়ী আবদুল করিম হাওলাদার। ৬ জুলাই নিখোঁজ হয়েছেন মোরেলগঞ্জ হাটের মো. হাবিবুর রহমান। ৪ জুলাই রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে থেকে সজল ও ইমরান নামের দুই যুবক নিখোঁজ হন। পরে ১২ জুলাই ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশ থেকে সজল ও ১৩ জুলাই ঢাকা-মাওয়া সড়কের পাশ থেকে ইমরানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ রকম লাশ উদ্ধার ও নিখোঁজের ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে সর্বত্র। বছরের অপরাধ আলোচনায় সে কারণেই শীর্ষে পেঁৗছেছিল 'গুপ্তহত্যা'। চলবে........................